চড়

গতকাল চট করে আড্ডা বসেছিল। সন্ধ্যায় বাইরে খেতে ইচ্ছা করছিল। কয়েকজন মিলে পপাই’স-এ গেলাম। বড়ো একটা চিকেন বাকেট নিয়ে সবাই বসে গেলাম খেতে। বাইরে সারাদিন সূর্য হিট ইনডেক্সে লাফালাফি করছিল, সাথে ছিল ভ্যাপসা গুমোট গরম। ভাগ্য ভাল গাড়ির নষ্ট এসি আবার কাজ করতে শুরু করেছে। কিন্তু বাসা বা গাড়ি থেকে বের হলেই দরদর করে ঘামছিলাম। পপাই’স খুব ঠাণ্ডা করে রেখেছিল। চিকেন চিবানো হলে বললাম বাসায় বসে একটু চা খেলে ভাল হয়। সবাই রাজি হলো। আড্ডার এক পর্যায়ে কথা ঘুরে রাজনীতি আর ধর্মের দিকে চলে গেল। সবাই দেশের পোলারাইজড অবস্থা নিয়ে হতাশ। সবকিছুই চরমে, ধর্মের নামে কুসংস্কার আর পর্দা মানা বেড়ে গেছে, আবার অন্য দিকে মেয়েদের আঘাত করা, আক্রমণ করাও বেড়ে গেছে। আমি যদিও অতোটা হতাশ হতে পারছিলাম না। আমি বলছিলাম, এই পোলারাইজেশন তো হবারই কথা ছিল। জামাত-শিবির গত ২০-২৫ বছর ধরেই এটা করছে। হবে না কেন? এখন আমরা সেই প্রচেষ্টার সুফল(!) দেখতে পাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টাগুলোকেও এরই মধ্যে ধরে রাখতে হবে। আরও ২০-২৫ বছর পরে সেটার প্রভাব দেখা যাবে। কেউ মানছিল না। আরও কিছুক্ষণ তর্ক+আড্ডা চললো। তারপর আম্মা ফোন করায় আসর ভেঙে উঠে পড়লাম। রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় তিনটা-সাড়ে তিনটা বাজলো।

তারপর আটটার দিকে দেরি করে ঘুম থেকে উঠে দেখি আরেকজন ব্লগার নিলয় নীলকে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মনে হলো গতরাতে তর্ক করার জন্য গালে কেউ সপাটে চড় মেরেছে।